তালেবানদের হামলার শিকার পাকিস্তানের নারীশিক্ষা আন্দোলনের অকুতােভয় কিশােরী মালালা ইউসুফজাঈ। পাকিস্তানে নারী শিক্ষা ও প্রগতিশীল সমাজ প্রতিষ্ঠায় লড়ে যাচ্ছিলেন এ কিশােরী। তালেবানী শাসনে পড়াশােনা না করতে পারার যন্ত্রণা এবং তালেবান নিয়ন্ত্রিত এলাকার মানুষের জীবন-যাপন নিয়ে ২০০৯ সালে বিবিসি’র ওয়েব ব্লগে উর্দু সংস্করণে লেখা শুরু করেন মালালা। I am afraid শিরােনামে ব্লগ লেখার মাধ্যমেই আন্তর্জাতিকভাবে সবার নজর কাড়ে মালালা। এর প্রেক্ষিতে ২০১১ সালে পাকিস্তানের প্রথম জাতীয় শান্তি পুরস্কারে ভূষিত হয় সে। নারী শিক্ষার পক্ষে সােচ্চার এ কিশােরীর কণ্ঠ চিরতরে স্তব্ধ করে দিতে ৯ অক্টোবর ২০১২ মিঙ্গোরাে শহরে স্কুল থেকে বাড়ি ফেরার পথে তাকে গুলি করে জঙ্গিরা। কিন্তু কোনােমতে প্রাণে বেঁচে যায় মালালা। পরবর্তীতে মালালাকে ঘিরে জাতিসংঘসহ বিভিন্ন সংস্থা ও দেশ বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করে। ১০ নভেম্বর ২০১২ জাতিসংঘ সারা বিশ্বে মালালা দিবস পালন করে। এছাড়া বিশ্বের সব মেয়েশিশুকে ২০১৫ সালের মধ্যে স্কুলগামী করতে পাকিস্তান এবং ইউনেস্কো নতুন মালালা পরিকল্পনা ঘােষণা করে। নারী শিক্ষায় সহায়তায় গঠিত হয় ইউনেস্কো মালালা ফান্ড। এমনকি ২০১৩ সালের নােবেল শান্তি পুরস্কার প্রদানের জন্য তার পক্ষে আনুষ্ঠানিক আবেদন করে বিশ্বের শীর্ষ পর্যায়ের ব্যক্তিগণ। সর্বশেষ ২০১৪ সালে মালালা বিশ্বের সবচেয়ে দামি পুরস্কার শান্তিতে ‘নােবেল পদক পান। এর আগে ২০১২ সালের ওয়ার্ল্ড পিস অ্যান্ড প্রসপারিটি ফাউন্ডেশনের সাহসিকতা পুরস্কার লাভ করেন মালালা ইউসুফজাঈ। তার সম্মানে তার বাবা জিয়াউদ্দিন। ইউসুফজাঈকে জাতিসংঘের শিক্ষা উপদেষ্টা হিসেবে নিয়ােগ দেয়া হয়। ডটার অব পাকিস্তান ঘােষণার প্রস্তাব সর্বসম্মতভাবে পাস করেছে পাকিস্তান আইনসভা। এরপর তাকে ‘ডটার অব পাকিস্তান’ ঘােষণা করে দেশটির সরকার। তৎকালীন ক্ষমতাসীন দল পাকিস্তান পিপলস পার্টির আইনপ্রণেতা রবিয়ান সাদাত কাইমখানি জাতীয় পরিষদে এ প্রস্তাব উত্থাপন করেন।
মালালা ইউসুফজাঈ
1 Answers